Monday, 21 April 2025

চিরপথিক



চিরপথিক
নুর মোহাম্মদ

হাজার বছর ধরে হাঁটছি আমি,
পেছনে ফেলে এসেছি ধ্বংসস্তূপ,
প্রেমের, বিশ্বাসের, যুদ্ধের ধুলো জমে আছে চুলে।
একেকটা শতাব্দী পেরিয়ে দেখি—
মানুষ বদলায়, কিন্তু ব্যথা বদলায় না।

বটগাছের ছায়ায় বসে কেউ গান গায়,
তাঁর গলায় শোনা যায় পূর্বপুরুষের দীর্ঘশ্বাস,
জলে ফেলে আসে চৈত্রের কান্না,
ভাটার সুরে বাজে হৃদয়ের হারানো ঘুঙুর।

আমি এক অজানা পিতার সন্তান,
কখনো দাস, কখনো যোদ্ধা, কখনো প্রেমিক।
ভালোবাসা পেয়েছি, হারিয়েছি;
তবু বারবার ফিরে এসেছি,
এই মাটির গন্ধে বাঁধা পড়ে আছি অনন্তকালের জন্য।

প্রতিটি প্রজন্মে আমি জন্মাই—
কখনো আমি নদী, কখনো স্রোতের বিপরীতে দাঁড়ানো নৌকা।
আমার চোখে ইতিহাসের অশ্রু,
আমার বুক জুড়ে ভবিষ্যতের প্রতীক্ষা।

হাজার বছর ধরে আমি কেবলই মানুষ—
ভুল করি, গড়ি, ভাঙি, ভালোবাসি, হারাই।
তবু আশ্চর্য,
এই পথ ফুরোয় না, এই জীবন থামে না,
এই কাব্য শেষ হয় না...



Sunday, 20 April 2025

ছায়া



ছায়া
নুর মোহাম্মদ


ভূমিকা

প্রতিটি মানুষের জীবনে এমন কিছু সম্পর্ক থাকে, যা আমাদের গায়ে লাগে না, কিন্তু আত্মায় বাসা বাঁধে।
‘ছায়া’ সেইসব নীরব ভালোবাসার গল্প—যারা কখনো উচ্চস্বরে কিছু বলে না, তবুও আমাদের জীবনের প্রতিটি মোড়ে, প্রতিটি সিদ্ধান্তে পাশে থাকে।

এই উপন্যাসটি একজন বাবার, যিনি নিজের ছেলেকে সময় দিতে পারেননি, কিন্তু রেখে গেছেন ভালোবাসা, শিক্ষা আর ছায়ার মতো একটা অবিচ্ছেদ্য সঙ্গ।


রাহাতের স্মৃতির জানালায় তার বাবার ছবি যেন রোদ ছায়ার খেলা—কখনো স্পষ্ট, কখনো অস্পষ্ট।
ছোটবেলায় বাবাকে সে খুব একটা কাছে পায়নি।
বাবা ছিলেন সরকারের চাকরিতে, নানা জায়গায় বদলি হতো, কখনো কুষ্টিয়া, কখনো দিনাজপুর, আবার কখনো চট্টগ্রামের কোনো পাহাড়ি উপজেলা।
বাড়িতে ফিরতেন বছরে দু-তিনবার—ঈদ, পূজা কিংবা কাউকে হারানোর উপলক্ষে।

তবুও সেই অল্প সময়েই বাবা যেন গেঁথে দিতেন হাজারটা মুহূর্ত।
একবার ঈদের আগে এসে রাহাতকে বলেছিলেন,
"এবার তোকে আমি নিজে সাইকেল চালানো শেখাবো।"
আর সত্যি, দুদিনের মাথায় বাবার হাত ধরেই রাহাত তার প্রথম ছোট্ট সাইকেলটা চালাতে শিখে গিয়েছিল।
কিন্তু সে সাইকেলের চেয়ে বাবার হাত ছেড়ে দিতে ভয় লাগত বেশি।

মা সবসময় বলতেন,
"তোমার বাবা কষ্ট করে উপার্জন করে, যাতে তুই পড়াশোনা করে বড় হতে পারিস।"
রাহাত বুঝত—কিন্তু বোঝার মাঝেও কোথাও একটা খালি জায়গা থেকে যেত।
যখন স্কুল থেকে ফিরে ক্লাসের বন্ধুরা বাবার সঙ্গে খেলা করা, সিনেমা দেখা, মাঠে যাওয়া গল্প করত—তখন সে জানালার পাশে বসে ভাবত,
"আমার বাবাকে আমি এত কম দেখি কেন?"

এক সন্ধ্যায় বাবার সঙ্গে ছাদে বসে চুপচাপ আকাশ দেখছিল রাহাত।
বাবা বললেন,
"রাহাত, জানিস, আমি তোকে না দেখে থাকতে পারি না। কিন্তু জীবনটা এমনই, কিছু ছাড় দিলে তবেই তো কিছু ধরা যায়।"

তখন রাহাত কিছু বলেনি।
শুধু বাবার কাঁধে মাথা রেখে থেকেছিল।
হয়তো ভেবেছিল—এই কাঁধটাই একদিন হারিয়ে যাবে।

যেদিন সেটা সত্যি হলো, পৃথিবীর সব শব্দ যেন স্তব্ধ হয়ে গেল।
একটা ফোনকল, আর মা'র হঠাৎ কান্না—
"বাবা আর নেই, রাহাত..."

রাহাত কিছুক্ষণ নিঃশব্দে দাঁড়িয়ে ছিল।
তারপর হেঁটে গিয়েছিল বাবার ঘরের দরজার সামনে।
দরজাটা খোলা ছিল।
ভেতরে বাবার ব্যবহৃত চেয়ারটা নিঃসঙ্গ দাঁড়িয়ে ছিল জানালার দিকে মুখ করে।
যেন আজও কেউ সেখানে বসে আকাশ দেখছে, কিংবা তার ছেলেকে দেখছে দূর থেকে।

রাহাত চেয়ারের পাশে গিয়ে বসে পড়ল।
চোখ বেয়ে ঝরে পড়ছিল নীরব কান্না—কিন্তু তার বুকের ভেতর থেকে তখনও যেন বাবার কণ্ঠ শোনা যাচ্ছিল:
"ছায়ার মতো থেকো, আমি আছি—তোর পাশে, সবসময়..."


রাহাত বাবার ঘরটা রাতের বেলায় নতুনভাবে আবিষ্কার করল।
এতদিন যা ছিল নিছক এক “বড়দের ঘর”, আজ তা যেন হয়ে উঠেছে এক অনুভবের জাদুঘর।
আলমারির উপর ধুলো জমেছে। বাবার পছন্দের বইগুলো একপাশে সাদা হয়ে গিয়েছে পাতায় পাতায়।
ঘরের কোণে রাখা ল্যাম্পটা জ্বালিয়ে সে দেখল—একটা ছোট কাঠের বাক্স।

তাতে তালা নেই, কিন্তু বহুদিনের মতো কেউ ছুঁয়ে দেখেনি।
খুলতেই একগুচ্ছ কাগজ, পুরনো ছবি, কিছু পোস্টকার্ড আর একটি চিঠি বেরিয়ে এল—
চিঠির উপর লেখা, “রাহাতের জন্য”।

হাত কাঁপছিল।
চিঠিটা খুলে পড়তে গিয়ে সে বুঝতে পারল—বাবা বুঝতেন, সময় ফুরিয়ে আসছে।

> “রাহাত,
যদি কখনও এই চিঠি পড়ো, জানবে—তুমি আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সৃষ্টির নাম।
আমি হয়তো তোমার সঙ্গে অনেকটা সময় কাটাতে পারিনি।
কিন্তু প্রতিটি রাতে ঘুমানোর আগে, তোমার ছবি দেখতাম, তোমার ছোট্ট লেখা পড়তাম,
ভেবেছি—আমার ছেলে মানুষ হচ্ছে, পৃথিবীর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
আমার না-পারাটাই ছিল তোমার পারার ভিত।”



চোখ বেয়ে জল পড়ছিল, কিন্তু কাঁদতে পারছিল না রাহাত।
চিঠির শেষে আরেকটা লাইন ছিল—

> “তুই একদিন বুঝবি, ছায়া মানেই অন্ধকার নয়—
ছায়া মানেই সঙ্গ, এমনকি রোদেও।”


সেই রাতে রাহাত ঘুমোতে পারেনি।
চোখ বন্ধ করলেই বাবার চেহারা ভেসে আসছিল, সেই হাসি, সেই শীতের সকালের চা, সেই কঠিন চোখের ভেতরে লুকানো কোমলতা।

সকালে ঘুম থেকে উঠে সে প্রথমবারের মতো বাবার ম্লান ছবিটার সামনে দাঁড়িয়ে বলেছিল,
"বাবা, আমি বুঝেছি... তুমি এখনো আছো, ঠিক আমার ছায়ার মতো।"


বছর চারেক কেটে গেছে।
রাহাত এখন ঢাকায় একটি বিজ্ঞাপন সংস্থায় কাজ করে। অফিসের ব্যস্ততা, ক্লায়েন্ট মিটিং, রাতজাগা ডেডলাইন—সবকিছু যেন একে একে মানুষকে ভেতর থেকে ফাঁপা করে দেয়।

তবু রাহাত আলাদা।
অন্যদের মতো হইচই বা অভিযোগ তার নেই।
যখন খুব ক্লান্ত লাগে, সে ফোনের গ্যালারিতে বাবার ছবিটা খুলে তাকিয়ে থাকে কিছুক্ষণ।
চোখে জল আসে না, আসে একটা আশ্চর্য রকম শান্তি।
বাবার চিঠিটা সে এখনো সঙ্গে রাখে। এক ধরনের তাবিজের মতো।

একদিন সন্ধ্যাবেলা বৃষ্টির পরে বাসায় ফিরে সে খেয়াল করল, জানালার পাশে একটা হাওয়ায় দুলে ওঠা ছায়া পড়েছে মেঝেতে।
তার মনে হলো, সেই পুরনো ছাদের কথা—
যেখানে সে বাবার কাঁধে মাথা রেখে আকাশ দেখত।
আরও মনে পড়ে, বাবা বলতেন—
“সব মানুষ চলে যায়, কিন্তু ভালোবাসা থাকে… ছায়ার মতো।”

সেদিন সে ঠিক করল—বাবার নামেই একটা ছোট গল্পের সংকলন লিখবে।
যেখানে থাকবে তার স্মৃতি, না-পাওয়া মুহূর্তগুলো, আর সেই চিঠির প্রতিটি লাইনকে ঘিরে গড়ে তোলা অনুভূতির গল্প।

তিন মাস পরে সে বইমেলায় একটি ছোট্ট প্রকাশনা স্টলে দাঁড়িয়ে ছিল—হাতের তালুতে ছিল প্রথম বই “ছায়া”।
শেষ পাতায় লেখা ছিল—

> “এই বইটা আমার বাবার জন্য,
যিনি দূরে থেকেও ছিলেন আমার জীবনের সবচেয়ে ঘন সঙ্গী।
তিনি এখনো আছেন, প্রতিটি শব্দের নিচে ছায়ার মতো।”


এক বৃদ্ধ এগিয়ে এসে বইটা কিনলেন, পড়ে দেখলেন লেখকের নাম—
রাহাত চৌধুরী।
তারপর মৃদু হেসে বললেন,
“তোমার লেখায় বাবার গন্ধ পাই।”

রাহাত কিছু বলল না।
শুধু মনে মনে বলল,
“দেখো বাবা, আমি ছায়া হয়েই লিখে চলেছি—তোমার ভালোবাসার গল্প।”



সময় কেটে গেছে আরও কয়েক বছর।
রাহাত এখন একজন স্বনামধন্য কপিরাইটার। বিয়ে করেছে তিন বছর হলো। স্ত্রী নীলার সঙ্গে জীবন বেশ গোছানো, শান্ত।
সম্প্রতি তাদের একটি পুত্র সন্তান হয়েছে—নাম রেখেছে রায়ান।

রায়ানকে কোলে নেওয়ার প্রথম রাতেই রাহাত কেঁদেছিল।
নীলা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করেছিল,
"তুমি কাঁদছো কেন? খুশিতে তো হাসে মানুষ!"

রাহাত শুধু বলেছিল,
"আমি আমার বাবাকে অনেকবার মনে করেছি, কিন্তু আজ তার অভাবটা ঠিক বুকের মধ্যে ছুরির মতো ঢুকলো। আজ যদি তিনি থাকতেন…"
বলতে বলতে কথা আটকে গিয়েছিল গলায়।

সেই রাত থেকেই রাহাত একটা অদ্ভুত প্রতিজ্ঞা করেছিল—
সে তার ছেলেকে কখনোই ছায়ার মতো ভালোবাসবে না,
বরং রোদ হয়ে ছেলের চোখে চোখ রেখে থাকবে।

রায়ান বড় হতে থাকল। প্রথম হাঁটা, প্রথম কথা, প্রথম স্কুলে যাওয়া—প্রতিটি মুহূর্তেই রাহাত ছিল পাশে।
কিন্তু সে বুঝত, বাবা হবার অর্থ কেবল ভালোবাসা নয়, অনেক সময় আত্মত্যাগ।
আর তখনই সে বারবার নিজের বাবার কথা ভাবত, যিনি দূরে থেকেও কতটা গভীর ছায়া হয়ে ছিলেন তার জীবনে।

রাতের বেলা যখন রায়ান ঘুমিয়ে যেত, রাহাত টেবিলে বসে লিখত—
না, পেশার কোনো প্রজেক্ট না,
সে লিখত একটা চিঠি—
তার ছেলের জন্য।

চিঠির উপরের দিকে ছোট্ট করে লিখে রাখত—

> "যদি আমি একদিন না থাকি…"



তাতে সে লিখে যেত তার অনুভব, তার দুঃখ, তার আনন্দ, তার ভয়, তার শিক্ষা—
একটা বাবার সমস্ত অদৃশ্য ভালোবাসার ভাষা।

সেই চিঠিগুলো সে একটা কাঠের বাক্সে রাখত—
যেই রকম একটা বাক্সে তার বাবার লেখা চিঠি পেয়েছিল রাহাত, বহু বছর আগে।

জীবন যেন এক নিঃশব্দ উত্তরাধিকার…
এক ছায়া, যেটা প্রজন্ম পেরিয়ে ভালোবাসা দিয়ে ছুঁয়ে যায় আরেক প্রাণকে।



রায়ান তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষে পড়ে।
রাহাত দিন দিন একটু নিস্তেজ হয়ে পড়ছিল—বয়স, চাপ আর কিছুটা নিঃশব্দ অভিমান তাকে ভিতর থেকে ক্ষয়ে দিচ্ছিল।

এক সন্ধ্যায়, রাহাত হঠাৎ বলল,
"রায়ান, বাবাকে কি একদিন খুব মনে রাখবি?"
রায়ান হেসে বলল,
"তুমি ছাড়া আমি তো কিছু চিনিই না, বাবা।"

রাত গভীর হলে রাহাত জানালার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল।
চাঁদের আলো ছুঁয়ে যাচ্ছিল তার মুখ।
সে চোখ বন্ধ করে বলল,
"বাবা, আমি তো তোমার মতোই হলাম… ছায়া হয়েই পাশে রইলাম।"

সেই রাতেই হঠাৎ করে রাহাতের হার্ট অ্যাটাক হয়।
হাসপাতাল, চেষ্টা, আর অশ্রুভেজা অপেক্ষার শেষে রাহাত আর ফিরলেন না।
তবে তিনি রেখে গেলেন—একটি কাঠের বাক্স।
একেবারে বাবার মতোই।

রায়ান সেই বাক্সটা খুঁজে পেয়েছিল একদিন অনেক পরে—ঘরের এক কোণে, পুরনো বইয়ের স্তূপের পাশে।

বাক্স খুলে দেখল—
প্রতি বছর জন্মদিনে লেখা চিঠি,
তার ছোট ছোট ভুলে বাবার গোপন গর্ব,
ভবিষ্যতের জন্য কিছু শব্দ—যা সময়ের ওপারে দাঁড়িয়ে পাঠানো হয়েছিল।

প্রথম চিঠির শুরু ছিল:

> “রায়ান,
যদি কখনও আমি না থাকি, জানবে—তুই ছিলি আমার সবকিছু।
তোকে সময় দিয়েছি, চোখে চোখ রেখে বলেছি ভালোবাসি।
কারণ আমি জানতাম, ছায়া হয়ে নয়, তোর জীবনে রোদ হয়ে থাকতে চাই আমি।”



রায়ান হঠাৎ বুঝে গেল, তার বাবা ছিল—
একজন ছায়ার মতো মানুষ,
যিনি নিজে অন্ধকারে থেকে অন্যকে আলোতে ঠেলে দিতে জানতেন।

রায়ানের চোখে জল এলো না।
সে জানত, বাবারা সবসময় কাঁধে হাত রাখে না,
তারা অনেক সময় চুপচাপ পেছনে থাকে—
একটি দৃশ্যমান ছায়া হয়ে,
যা কোনোদিন হারিয়ে যায় না।




শেষনোট

এই বইটি আমার সেই বাবার জন্য,
যিনি প্রতিদিন ব্যস্ততার ছায়ায় থেকেও আমাকে ভালোবাসতেন নিঃশব্দে।
আমি জানি, অনেক কিছু বলা হয়নি, অনেক কিছু শোনা হয়নি—
তবুও প্রতিটি নিঃশ্বাসে আমি টের পেয়েছি তাঁর উপস্থিতি।
আজ আমি বাবা,
তাই হয়তো একটু বেশি বুঝি “ছায়া” শব্দটার ওজন।

— নুর মোহাম্মদ


Wednesday, 15 March 2017

আমার জীবনে ভালবাসার কোন অর্থ ছিলনা



আমার জীবনে ভালোবাসা শব্দটার কোন অর্থই ছিলনা। ভালবাসা কি আমি তা জানতামিনা। একটা সময় বাঁচার সব আগ্রহ হারিয়ে ফেলি। আর ঠিক সেই সময়, তুমি এলে আমার জীবনে। তুমি শিখিয়েছ আমাকে, কিভাবে জীবনকে ভালবাসতে হয়। তুমি কে, তুমি দেখতে কেমন, এইগুলো কিছু না জেনে, নিজের অজান্তে  কখন যে তোমাকে ভালবেসে ফেলেছি, তা বুঝতেই পারিনি। আর যখন বুঝতে পারলাম, তখন অনেক পথ আতিক্রম করে ফেলেছি, এ পথ থেকে আমি আর ফিরে যেতে পারবোনা। আমি জানিনা এ পথ শেষ হবে কোথায়। আমি জানিনা এ ঘটনাটা তুমি নিবে কিভাবে। শুধু জানি আমি তোমাকে ছাড়া কিছুই বুঝতেই পারিনা। কিছু ভাবতেই পারনিনা। আমি তোমাকে ভালবাসি, খুব খুব ভালবাসি।